নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট মহানগর প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত, পূনঃনির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ বাসা-বাড়ির তালিকা প্রনয়ন এবং নগরকে বন্যা মুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি উচ্চতর সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগরের বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের সকল দপ্তর-সংস্থা ও অংশিজনদের নিয়ে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রবিবার (২২ মে) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জুম-এর মাধ্যমে নির্দেশণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেন, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও উজান থেকে নেমে পানিতে সৃষ্ট আর্কষিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবুও দুর্গত মানুষের কল্যানে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রাকৃতিক এই দুযোর্গ পরবর্তি ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক, বাড়ি ঘরের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠালে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে সুরমা নদী খনন, মহানগরের পুকুর-দীঘি উদ্ধার ও খনন এবং ছড়াগুলোকে শতভাগ উদ্ধার করার নির্দেশণা দেন তিনি। এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে মহানগর রক্ষায় স্বল্প, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়নের উপর জোড় দেন তিনি।
সভায় সিলেট মহানগর এলাকার প্লাবিত এলাকার নাগরিকদের ত্রান বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সভায় আগামী বর্ষাকালে যাতে বন্যার পানি মহানগরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর আওতায় মহানগেরের যে সকল এলাকায় নদীর পাড় নিচু সেসব পাড় উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বন্যা থেকে সিলেট মহানগরকে রক্ষায় সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে উচ্চ পর্ায়ের গবেষনা পূর্বক সরকারের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মহানগরের প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাসা-বাড়ির তালিকা প্রনয়ন ও করণীয় বিষয়ক স্ববিস্তার প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
এ লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সওজ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সস্তু, কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী, কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ. কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা সাকি, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, সিলেট মাহনগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী, জালালাবাদ গ্যাস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন, সড়ক বিভাগ- সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিক আহমদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল বারী তুহিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (কলেজ) মো. নূর-এ-আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টি সিলেটের ভার প্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক পাঠওয়ারী, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেট স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস সিলেটের উপ পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান. বিআরটিএ সিলেটের মোটরযান পরির্দশক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. নাজিম খাঁন, বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান, সিসিকের আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাত হোসেন খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
Leave a Reply