নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী সদস্য কয়ছর এম আহমদ বলেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে মেগা প্রকল্পগুলো পাশ হয়েছে, আর এই প্রকল্পগুলো থেকে মেগা লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ। এই লুটপাটে তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী কোনো ভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন তাদের প্রত্যেকের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে।
গতকাল রবিবার বিকাল ৪টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা নিতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের আসনের সাবেক সাংসদ সাহেব গ্রেফতার পর বলেছেন তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো। তিনি কিছুই জানেন না। এরচেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে। আপনি জানেন না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে আপনি ক্ষমতায় এসেছেন। তারপরও কি বলবেন আপনি নির্দোষ? আপনি সব কিছুই জানেন, সব দুর্নীতি আপনার মাধ্যমেই করা হয়েছে। কোনোভাবেই আপনি ছাড় পাবেন না।
কয়ছর এম আহমদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য স্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেও দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারা সব থেকে বেশী নির্যাতিত ব্যক্তি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমান। সুদীর্ঘ ১৭ বছর দেশ নায়ক তারেক রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের দেশে বিদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ সৈরাচার মুক্ত হয়েছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। অন্তর্তীকালীন সরকারের অধিনে একটি সুষ্টু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যক নাগরিক নিজ ভোট তার পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আমরা এদেশের বৈধ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্মভূমিতে আসতে পারি নাই।ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সরকার আমাদের পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছিল। দীর্ঘ একযুগ এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে আসতে দেই নাই। আমাদেরকে জন্মভূমি থেকে দুরে রেখেছিল। এসময় তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা শান্তিগঞ্জ বাসী, আপনারা কি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে শান্তিতে ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিন। জেলা বিএনপির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নূর আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল হক নুরুল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, কেন্দ্রিয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন, এড. মনির মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা এম এ রউফ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিসুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক এড. শাহীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সুজাত হোসেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা রেজাউল করিম জায়গীরদার রাজা, লন্ডন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ রব, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, সিলেট মহানগর যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর মতিন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মুকিত, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহমদ, মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গির আলম, সদস্য সচিব তারেক মিয়া, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শিহাব খাঁন সহ প্রমুখ।
Leave a Reply