ঢাকা সংবাদাতা : আমরা এখন সংগঠিত হওয়া শুরু করেছি। এভাবে যদি সংগঠিত হতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন, হতাশাই শেষ কথা না। হতাশার পরে নিশ্চয়ই নতুন সূর্যোদয় হবে। আমাদের অবশ্যই সেই সময় আসবে যখন আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনও নিরাশ হইনি। আমরা হতাশ হইনি। গত ১৪ বছর ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এ সরকারে বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছি। এবং এই মূল্য আমরা আরও দেবো। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। অনেকে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ বিষয়গুলো নেওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যারা দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তারাই আমাদের চোখের সামনে করোনার কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন। ’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের সকল অর্জনগুলো এই সরকার হরণ করে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমরা সংগ্রাম করছি। এতকিছুর পরেও আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। শুধুমাত্র গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য। ’সরকার একটা জায়গায় খুব সফল হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জনগণের মাঝে তারা ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি নিয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর যে হামলা হয়েছে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দলের এক নেতা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে। এই সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। বিএনপিকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে। ’নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশে যতো অপকর্ম হয় সব এই আওয়ামী লীগের লোকেরা করে। নারী ধর্ষণ, জমি লুট, এখন বর্জ্য ব্যবসাও নাকি আওয়ামী লীগের নেতারা করে। দেশের সব কিছু এখন সরকারের লোকেরা দখল করে নিয়েছে। গতকাল দেখলাম হিন্দুরা মিছিল করছে- তাদের ওপর নির্যাতন কেন? শ্রমিকরা মিছিল করছে- তাদের পেটে ভাত নাই কেন? এগুলোই সরকার বন্ধ করতে পারেনি। ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহী প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।
Leave a Reply