সুদান প্রতিনিধি : সুদানের দারফুরে শান্তিরক্ষায় ‘পরিশ্রম ও কর্মদক্ষতার’ জন্য ‘প্রশংসা সনদ’ পেয়েছেন সেখানে কর্মরত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের অপারেশন অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুক মিয়া। বৃহস্পতিবার দারফুরে এলফেশার সুপার ক্যাম্পের বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পে সেই দেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সুলতান আজম তিমুরি বাংলাদেশি মাসুম মিয়ার হাতে এ সনদ তুলে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মাসুক ২০১৯ সালের ২৫ মে সুদানের দারফুরে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এরপর সেখানে নিয়ালা সুপার ক্যাম্পের নিরাপত্তা দিয়ে সরকারের কাছে ক্যাম্প হস্তান্তর করেন।সেখানে কুটুম টিম সাইটের ফাতাবর্ন আইডিপি ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করে প্রশংসিত হন তিনি।এরপর এলফেশার সুপার ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রদান ছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জাতিসংঘের কোভিড-১৯ গাইডলাইন মেনে দক্ষতার সাথে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনাসহ জাতিসংঘ হেডকোয়ার্টাস থেকে আগত বিভিন্ন ভিআইপিদের এসকর্ট দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।সুদানে
শান্তিরক্ষায় অবদানের জন্য এ মাসের শুরুতে ‘জাতিসংঘ শান্তি পদক’ পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুক মিয়া।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থীর সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বপালন শেষে আগামী ১১ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মাসুক মিয়া বলেন, “সুদানের দারফুরে জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন যৌথভাবে শান্তিরক্ষায় কাজ করছে। বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের একজন সদস্য হিসেবে এই মিশনে কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।“দায়িত্বপালনকালে শান্তিরক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হয় এমন কাজ করার চেষ্টা করেছি। যার স্বীকৃতি হিসেবে আমাকে এই ‘প্রশংসা সনদ’ দেওয়া হয়েছে।”
‘প্রশংসা সনদ’ পেয়ে দিনটিকে ‘অত্যন্ত আনন্দের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একজন শান্তিরক্ষী হিসেবে মিশনে অনেক প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এই সনদ প্রাপ্তি আমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে।”এরকম ‘প্রশংসা সনদ’ মিশনে কর্মরত অন্যদেরও উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন মাসুক মিয়া।
Leave a Reply