বিজন কুমার : বিয়ে মানেই আনন্দ। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ। আর এই আনন্দকে আরও বেশি বাড়িয়ে দিতে এঞ্জিলিকা ইভেন্ট সলিউশন সম্প্রতি আয়োজন করে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিবাহ উৎসব। এই উৎসবের টাইটেল স্পনসর ‘লে-মেরিডিয়ান ঢাকা’। কো-স্পন্সর ছিল ‘টি এ সি পারফিউম’ এবং এসোসিয়েট পার্টনার ছিল ‘ভায়োলেট ইনক’ এবং ‘এটিএন এমসিএল’। আর এই ইভেন্টের সফলতার অংশ হিসেবে মূল ভূমিকায় ছিলেন এঞ্জিলিকা ইভেন্ট সলিউশনের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার কাজী সোমায়া রহমান।
এই সফলতার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। ছাত্রী হিসেবে দারুণ সফল ছিলেন তিনি। ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা সোমায়া মাস্টারমাইন্ড থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল শেষ করে লন্ডনে বিবিএ এবং পাশাপাশি এল এল বিতে ডাবল অনার্স শেষ করেন। এরপর প্রায় ৯ বছর লন্ডনে ছিলেন তিনি।
এদিকে সোমায়ার শিক্ষকতা ক্যারিয়ার ছিল প্রথমদিকে। হার্ডকো ইন্টা. স্কুল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টা. স্কুল ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্টে নতুন হলেও ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন তিনি।
কাজী সোমায়া রহমান বলেন, লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরার পর প্রথমে একটা ব্যাংকে কিছুদিন চাকরি করেছি। এরপর গত বছরের নভেম্বর থেকে কাজ করছি এঞ্জিলিকার সঙ্গে। খুব ভালো এবং ব্যস্ত সময় কাটছে এখানে। বিশেষ করে কোম্পানির সিইও মিস নুসরাত জাহান অনেক ভালো মনের মানুষ। কোনো সময় মনে হয় না তিনি আমার বস। টিমের সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তার। কাজের স্বাধীনতা দেন তিনি। ১০০০ বেশি ইভেন্ট করেছে এই কোম্পানি।
লে মেরিডিয়ানে হয়ে যাওয়া সাম্প্রতিক সফল ইভেন্ট নিয়েও বলেন তিনি।
সোমায়া বলেন, ইভেন্টে প্রথম চাকরি এটা আমার। আর প্রথম ইভেন্ট হলেও বেশ বড় একটি ইভেন্ট ছিল এটি। এজন্য অবশ্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। প্রথমে তো ভেন্যু সিলেকশনের জন্য একটা বিষয় ছিল, এরপর সেলেব্রিটি ফাইনাল করা, স্পন্সর ম্যানেজ করা, সংবাদ সম্মেলন, স্ক্রিপ্ট রাইটিংসহ প্রায়ই সব কাজই আমি ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছি। আর প্রথম ইভেন্ট হিসেবে সেটার সফলতাও পেয়েছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের বিষয়। আর হোটেল লে মেরিডিয়ানের সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ করে লে মেরিডিয়ানের হেড অব সেলস যুবায়ের ফারুক চৌধুরী, জাহান, নওশীন, কাজীসহ লে মেরিডিয়ানের সকলে অনেক সহযোগিতা করেছেন। ২৩, ২৪ জানুয়ারিতে হোটেল লে মেরিডিয়ানের ইনফিনিটিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। লাইফস্টাইলে প্রেম কালেকশন, পারফিউমে টিএসসি, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে এটিএন বাংলাসহ অনেক ভালো কো-স্পন্সর ছিলো। সকলে বেশ সহযোগিতা করেছেন।
সবশেষে তিনি বলেন, যেহেতু এটা আমার ক্যারিয়ারের প্রথমেই বড় একটি ইভেন্ট ছিলো তাই কিছু ভুল ত্রুটিও ছিলো। আর ভুল-ত্রুটি তো সব ইভেন্টেই থাকে। ফ্যাশন শো, বেস্ট কাপল সিলেকশনসহ বেশকিছু বিষয় ছিল এই ইভেন্টে । আর আগামী ২৬ মার্চ মেগা মেলা করতে যাচ্ছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হবে এটা। সবকিছু এখনই বলতে চাই না। চমক থাকুক। আমার কাছে ইভেন্ট মানে রাতের পার্টি না। আমাদের ইভেন্ট ফার্মে সকলেই মেয়ে। ভালো মানের মেগা ইভেন্ট করার ইচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য ভালো একটা পরিবেশ ক্রিয়েট করতে চাই। যেন পরিবারের সকলে টেনশন না করে। এছাড়া কাপল ওরিয়েন্টেড অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। যেটা আমাদের দেশে কম হয়ে থাকে।
Leave a Reply