1. bnn.press@hotmail.co.uk : bhorersylhet24 : ভোরের সিলেট
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
তার কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই - মির্জা ফখরুল - Bhorersylhet24

তার কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই – মির্জা ফখরুল

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
  • ৩০৯ বার ভিউ

ঢাকা সংবাদাতা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করে আছে এবং আপনাদের ওপর চড়াও হয়ে বসেছে বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন।”

তিনি বলেন, “প্রতিনিয়ত ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক কথা বলেন। তার কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই, কৌতুকবোধ করি। তার কথা বলার ভঙ্গি খুব সুন্দর। তার বসে থাকার ভঙ্গি খুব সুন্দর, তিনি যে আসনে বসে কথা বলেন সেটাও খুব সুন্দর। তিনি দেখতে অত্যন্ত সুদর্শন মানুষ। চমৎকার কটি পরে, তার ওপরে নোকা মার্কার পিন পড়েন। সেটা কিসের আমরা জানি না। পত্রপত্রিকায় বের হয়েছে তার ঘড়িগুলো নাকি এক একটি ৩৬ লাখ, ৫২ লাখ, ১ কোটি এরকম দামের। আসলে দাম কত আমরা সেটা জানি না।”

শনিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি গতকালও বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু প্রত্যেকদিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন। অন্যদিকে বলেন বিএনপি নাই। তাহলে প্রতিদিন বিএনপি সম্পর্কে কথা কেন বলেন? কারণ আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করে আছে এবং আপনাদের ওপর চড়াও হয়ে বসেছে বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনাদেরতো লজ্বা হওয়া উচিৎ। বিশেষ করে আমাদের সাধারণ সম্পাদক সাহেবের। আপনার এলাকা বসুরহাট, আপনার এলাকা নোয়াখালী সেখানে কি হচ্ছে? আজকে পত্রিকায় আসছে, সেখানে একজন সাংবাদিকসহ যে দু’জন খুন হয়েছে তাদের মধ্যে মৃত শ্রমিকের ভাই মামলা করেত গিয়েছিলো কিন্তু পুলিশ তার মামলা নেয়নি। কাদের মির্জার বিপক্ষে মামলা নেয়নি। কারণ তিনিতো শুধু কাদের মির্জা নয়, তিনি বাংলাশেশের ২য় শক্তিশালী ক্ষমতাধর মানুষ ওবায়দুল কাদের সাহেব এর ভাই। কোথায় বিচার, কোথায় ন্যায়ের শাসন? তাই আমি বলেছি, বিএনপির সমালোচনা করার আগে আপনারা আপনাদের নিজের ঘর সামলান। প্রতিদিন যে মারামারি-লড়ালড়ি তা সামলান।লুটের বণ্টন নিয়ে, বাংলাদেশকে যে লুট করেছে সেই লুটের বন্টন নিয়ে মারামারি করে।”

তিনি বলেন, “এদের লক্ষ্য এখন একটাই। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশকে লুট করে নেয়া। আমরা ছোটবেলা মায়ের মুখে শুনতাম, খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বরগি এলো নেমে। সেই বরগিদের ভূমিকায় রয়েছে তারা। বরগিরা যেমন বাংলাদেশের কৃষকদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেতো ঠিক সেইভাবে আজকে তারা সমগ্র বাংলাদেশকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিদেশে বেগমপাড়া, ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকায় বাড়িঘর তৈরী করছে।”

ফখরুল বলেন, “আওয়ামীলীগ কখনোই জনগণ এর বন্ধু ছিলোনা। আমার দুঃখ হয় যে আওয়ামীলীগ পাকিস্তান আমলে দেখেছি আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছেন। আজকে আমাদের এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব উপস্থিত আছেন। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, ভিপি ছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ এর যে ভূমিকা আজকে তিনিও সেখানে থাকতে পারেননি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “স্বাধীনতার পর আওয়ামীলীগ এর চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আজ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র মানলেতো মানুষের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে, গণতন্ত্র মানলেতো সবাইকে ভিন্নমত পোষণ এর স্বাধীনতা দিতে হবে, গণতন্ত্র মানলেতো ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এগুলোর মধ্যে তারা নেই। তারাই সব, তারাই মালিক, আমরা সবাই প্রজা। তারা প্রভু আর আমরা সবাই দাস এভাবেই তারা গোটা বাংলাদেশকে দেখেন।”

বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ও ড্যাব এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফারহাদ হালিম ডোনার এর সভাপতিত্বে ও ড্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, ড্যাব এর মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ট্রেজারার অধ্যাপক শাকিল, যুবদলের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারন সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ সভাপতি পার্থদেব মন্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাফিজ), সাজিদ হাসান বাবু, পাভেল সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, রিয়াদ ইকবাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসলাম, ছাত্রদল নেতা সালেহ আদনান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ফারহাদ হোসেন ডোনার অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মেহেদি হাসান প্রমুখ।

নিউজ শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *