নিজস্ব প্রতিবেদক.লন্ডন : যুক্তরাজ্যে প্রতি দশ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হওয়া আদমশুমারী শুরু হচ্ছে চলতি বছর। ইংল্যান্ডে ২১ শে মার্চ হবে এই আদম শুমারীর দিন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে কমিউনিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বাঙালীদের এই আদমশুমারীতে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস বা জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সেনসাস এনগেজমেন্ট ম্যানাজার এনামুর চৌধুরী। ওয়েষ্ট মিডল্যান্ডসের টিপটনের একটি কমিউনিটি হল থেকে বাংলা গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জাতীয় পরিসংখ্যান বা আদমশুমারীতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের প্রতি এই আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস অফিসের ব্রিটিশ বাঙালী এই কর্মকর্তা জানান, করোনভাইরাস (COVID-19) এর কঠিন সময়ে আসা এই আদমশুমারিতে ইংল্যান্ডে বসবাস করা বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ পুরো কমিউনিটির মধ্যে করোনভাইরাস (COVID-19) কি প্রভাব ফেলেছে এবং কিভাবে সকলে জীবন ধারণ করছে তার একটি মৌলিক ধারনা দেবে এবারের আদমশুমারী। তিনি বলেন, আদমশুমারীর মাধ্যমে সংগৃহীত ব্যক্তিগত তথ্যগুলো একশত বছরের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ; যেখান থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের পুর্বপুরুষদের পারিবারিক ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
এ ছাড়া আদমশুমারির মাধ্যমে প্রদত্ত সমস্ত তথ্যাদি আইন অনুসারে সুরক্ষিত রাখা হবে এবং প্রকাশিতব্য আদমশুমারির পরিসংখ্যানে এমন কোনও তথ্য থাকবে না, যার মাধ্যমে যে কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। কোথায়ও কোনও আবেদন গ্রহন কিংবা কোনও অর্থ প্রদান অথবা বেনিফিট ক্লেইম,হাউজিং এপ্লিকেশন,ইমিগ্রেশন ষ্ট্যাটাস কিংবা ট্যাক্ বিষয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং ব্যবহৃতও হবে না এই আদমশুমারীর তথ্য বলেও তিনি জানান।সংবাদ সম্মেলনে এনাম চৌধুরী বাঙালী কমিউনিটির সকলকে এই আদমশুমারীতে অংশ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নানা তথ্য উপস্থাপন করে বলেন,এর মাধ্যমে পুরো যুক্তরাজ্যে থাকা বাঙালী কমিউনিটির মানুষের সংখ্যা জানা ছাড়াও লিঙ্গ,বয়স,কাজ,স্বাস্থ্য,শিক্ষা,পরিবারের আকার ও জাতিগত সম্পর্কে প্রশ্ন থাকবে এবং প্রত্যেককে তাদের জাতীয়তা,নৃ-গোষ্ঠী এবং ধর্ম সম্পর্কে নিজ নিজ ইচ্ছানুযায়ী তা উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে। আর এর মাধ্যমে কমিউনিটির বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে সরকার ওয়াকিবহাল হবে এবং পরিবর্তনশীল সমাজ গঠনে সিদ্ধান্ত নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। সে কারণে কমিউনিটির জন্য ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা
মেটাতে এই তথ্য প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আদমশুমারি ছাড়া বাংলাদেশী কমিউনিটি তাদের কোনো কৃতিত্বের জন্য কখনই গণ্য হবে না এবং ব্রিটিশ সমাজে যে তাদের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটাও তুলে ধরতে পারবে না। বিধায় আমরা যদি একটি কমিউনিটি হিসাবে আমাদের চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরতে চাই; তাহলে অবশ্যই আদম শুমারীতে অংশ নিতে হবে মাতামত ব্যক্ত করেন এনাম চৌধুরী।করোনভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের আদমশুমারিটি অধিকাংশই অনলাইনে পরিচালিত হবে ফ্রেব্রুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে প্রতিটি বাড়ীতে জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে একটি বিশেষ কোডসহ চিঠি প্রেরণ করা হবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনামুর চৌধুরী বলেন, সেই চিঠিতে থাকা প্রশ্নমালাগুলো কম্পিউটার,আইপ্যাড,ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোনে কোড ব্যবহার করে আদমশুমারীতে পুরণ করা যাবে ; এবিষয়ে সহযোগিতা চাইলে প্রয়োজেনে বাংলা ভাষায়ও ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন জনসেবামুলক প্রতিষ্টান থেকে সহযোগিতা করা হবে, এমনকি কাগজেও তা পুরণ করার সুযোগ থাকবে। এবিষয়ে তথ্য পেতে www.census.gov.uk ওয়েভসাইট ভিসিট করার আহবান জানান এনামুর চৌধুরী।
Leave a Reply