নিউজ ডেস্ক : আবারও সামাজিকতায় ফিরতে ২১ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ব্রিটেনবাসীকে। সোমবার লকডাউন শিথিলের রোডম্যাপ ঘোষণাকালে এমন কথাই বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ১০ ডাউনিং স্ট্রীটে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া এবং দেশজুড়ে মহামারির আক্রমণ ভয়াবহ রূপধারণের প্রেক্ষাপটে তৃতীয় দফায় জারি হওয়া লকডাউন ধাপে ধাপে শিথিল তথা পুরোপুরি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় রোডম্যাপে । চার ধাপে বিভক্ত লকডাউন শিথিলের সর্বশেষ ধাপে ২১জুন থেকে সামাজিকতার ক্ষেত্রে সব ধরনের আইনী বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর ঘোষণায়।
চার দফায় ঘোষিত রোড ম্যাপের:
১ম ধাপ: ৮ মার্চ থেকে সব স্কুল খুলবে। একই সঙ্গে ঘরের বাইরে ভিন্ন পরিবারের দুজন দেখা স্বাক্ষাত করতে পারবে।
২৯ মার্চ থেকে রোল অব সিক্স চালু হবে। অর্থাৎ দুই পরিবারের সদস্যরা আউটডোর মিলিত হতে পারবেন। একই সঙ্গে আউটডোর খেলাধুলার ফ্যাসিলিটি খুলে দেওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ: ১২ এপ্রিল থেকে ইংল্যান্ডে দোকানপাট, সেলুন, জিম, চিরিয়াখানা, থীম পার্ক এবং আউটডোর হসপিটালিটি সেক্টর খুলে দেওয়া হবে।
তৃতীয় ধাপ: ১৭ মে থেকে সামাজিকতার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হবে। অবাধ মেলা মেশার সুযোগ আরো বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
চতুর্থ ধাপ : ২১ জুন থেকে সামাজিকতার ক্ষেত্রে তুলে নেয়া হবে সব ধরনের আইনী বাধ্যবাধকতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়ে, করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পর হাসপাতালের রোগি ভর্তির সংখ্যা কমেছে। এতে ফাইজার ভ্যাকসিনের ৮৫ শতাংশ এবং আস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিনে ৯৪ শতাংশ অবদান রয়েছে বলে জানানো হয়।স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় প্রশাসন তাদের লকডাউন শিথিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
Leave a Reply