নগর প্রতিনিধি : সিলেট নগরের বন্দরবাজারে ব্যাংকার মওদুদ আহমদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অটোরিকশা চালক নোমান হাসনুর। এক ঘুষিতেই মওদুদ আহমেদ মারা যান বলে আদালতে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন এই মামলার প্রধান আসামি হাসনুর।তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতকে জানান, ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ব্যাংকার মওদুদ আহমেদকে জোরে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবস্থা দেখে ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে খবর পান মওদুদ মারা গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক সাইফুর রহমান এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামি নোমান হাসনুরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।ব্যাংকার মওদুদ আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোমান হাসনুর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে প্রথমে ১৬১ ধারায় হত্যার স্বীকারোক্তি দেন নোমান হাসনুর। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ১৬৪ ধারায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।
নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন ব্যাংকাররা। মওদুদ জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড অগ্রণী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
Leave a Reply