1. bnn.press@hotmail.co.uk : bhorersylhet24 : ভোরের সিলেট
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
সাংবাদিক আবার মফস্বল কেন ? - Bhorersylhet24
শিরোনাম :
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে, জুনের শেষে এইচএসসি ওসমানীনগরে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না সংস্কার শেষে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার,প্রত্যাশা ইইউয়ের মেগা প্রকল্প পাশ করে মেগা দুর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ-কয়ছর এম আহমদ আগামীর বাংলাদেশ গড়তে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-হেলাল খান জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ নেতাদের রোষানলে পড়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার আসামি ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করার দাবি পাথর কোয়ারি সচলের দাবিতে জাফলংয়ে মানববন্ধন

সাংবাদিক আবার মফস্বল কেন ?

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
  • ৪০৭ বার ভিউ

মীর আব্দুল আলীম : ব্যাটা রিপোর্টার, সাংবাদিক না; মফস্বল সাংবাদিক। এটা একটা পত্রিকা হলো নাকি? ছোট সাংবাদিক, বড় সাংবাদিক, বড় পত্রিকা, ছোট পত্রিকা এসব কথাগুলো সাধারণত চড়িয়ে বেড়ান এ সমাজের অপরাধীরা। তাদের অপকর্মের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হলেই এমন মন্তব্য করে থাকেন তারা। তারা জানেন না, সংবাদপত্রে যারা নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করেন তারাই সাংবাদিক।
মফস্বল সাংবাদিক বলে যারা নাক সিটকান তাদের জানা প্রয়োজন, আজ এদেশে যারা সংবাদপত্রের বড় জায়গা দখল করে আছেন তাদের অধিকাংশই মফস্বল সাংবাদিকতা থেকে আসা। তবে কথা আছে! আজকাল যেভাবে সাংবাদিক পরিচয়ের ব্যবহার বেড়েছে এবং সাংবাদিকতার অপব্যবহার চলছে তাতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা এখন বেশ বিব্রত। পয়সা খরচ করে যেনতেন একটা আইডি কার্ড কিনে সাংবাদিক বনে যাচ্ছেন অনেকে।
বিশেষ করে সমাজের অপরাধীরা এমন কাজে জড়াচ্ছেন। তাদের সহযোগীতা করছে আন্ডার গ্রাউন কিছু পত্রিকা। অশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত লোকজনও আজকাল সাংবাদিক পরিচয়ে গলায় কার্ড ঝুলিয়ে নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে। এসব অপেশাদার কথিত সাংবাদিকরা অনেক ক্ষেত্রে অপকর্ম করতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। এদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকদের মর্যাদা ধুলায় ভুলন্ঠিত হচ্ছে। পত্রিকা মান ভেদে কম বেশি চলতে পারলেও সেটা কোন বিষয় নয়।
কিন্তু যদি ঐ পত্রিকার সাংবাদিক পেশাদার হন তবে তাকে রিপোর্টার, মফস্বল সাংবাদিক বলে নাক সিটকানো সমীচীন নয়। সাংবাদিক, মফস্বল সাংবাদিক, রিপোর্টার এমন কথা বলেন যারা তাদের কাছে প্রশ্ন সাংবাদিকতা কী?
ইংরেজিতে বলে জার্নালিজম। বাংলায় সাংবাদিকতা। পত্রপত্রিকায় যিনি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনিই ‘জার্নালিস্ট’ বা সাংবাদিক। জনসমক্ষে প্রকাশ করার জন্য যে চর্চা বা অনুশীলন তাকে সাংবাদিকতা বলা হয়।একেবারে সরল কথা হলো, যিনি সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেন এবং লিখেন, তিনিই সাংবাদিক। মার্কিন সাংবাদিক আর ডি ব্লুমেনফ্রেল্ডের মতে, যিনি সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ উপযোগী করেন এবং সংবাদ-সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনিই সাংবাদিক। মফস্বল সাংবাদিক বলে সাংবাদিকদের বিভক্ত করা হীনমন্যতা।
সাংবাদিকতা কেউ শহরে করেন, কেউ জেলা কিংবা উপজেলায় করেন। কেউ টাকা বেশি পান কেউ কম পান এটাই পার্থক্য। সাংবাদিকতায় কোন পার্থক্য নেই। মফস্বল নয় সবাই সাংবাদিক। ৩৫ বছর সাংবাদিক জীবনে আমি সব ধরনের সাংবাদিকতাই করেছি। এখন দেশের স্বনামধন্য বাংলা, ইংরেজে পত্রিকাতে নিয়মিত কলাম লিখি। একটু বলে রাখি, মফস্বলে সাংবাদিকতা করা অনেক কঠিন কাজ।
শহরে সাংবাদিকতা করা কিন্তু সহজ। শহরে কেউ কাউকে তেমন একটা চেনে না, জানে না, তাদের খুঁজেও পায় না। তা ছাড়া সংবাদে নিজস্ব প্রতিবেদক, কিংবা প্রতিবেদক লিখলে চেনার আর সুযোগ থাকে না। জেলা-উপজেলায় যারা কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে একজনই নিয়োগ পান তাকে সবাই চেনেন, জানেন।
সে ক্ষেত্রে জেলা প্রতিনিধি, কিংবা উপজেলা প্রতিনিধি লিখলে স্পষ্ট বোঝা যায় কে সংবাদটি লিখেছেন। মফস্বলে সাংবাদিকতা করা তাই এত সহজ কাজ নয়। জেলা, উপজেলার সাংবাদিকদের কাজ করতে হয় বেশি, তাদের ঝুঁকিও বেশি, পারিশ্রমিক কম (যারা অসৎ তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
মফস্বলের সাংবাদিককে একটা ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে গানপয়েন্টে থেকে কাজ করতে হয়। গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ তাকে পূর্ণ বেতন সুবিধা বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ না দিলেও ঐ নিদিষ্ট এলাকায় তিনি সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির সবধরনের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর মফস্বল সাংবাদিককে একাই একটা এলাকার সকল রিপোর্ট করতে হয়।
খেলার খবর, সংঘাত, সংঘর্ষ, ফিচার, অপরাধ, রাজনীতির সব খবরই তিনি একাই তৈরি করেন। কিন্তু পত্রিকা অফিসে যারা কাজ করেন তারা একেক জন থাকেন এক একটি বিষয় নিয়ে। খেলার রিপোর্ট যিনি লিখছেন তিনি ঐটাই লিখেন, অপরাধের খবরের রিপোর্ট লিখেন অন্যজন।তাই তাঁরা সে ব্যাপারে পারদর্শী হন বেশি। শহরে সংবাদ সহজেই পাওয়া যায়। পরিশ্রম কম কিন্তু মফস্বলের একজন সাংবাদিককে গাধার মেতো সারা দিন এ সংবাদ, ও সংবাদের পেছনে ছুটতে হয়।এতে সব বিষয়ে অভিজ্ঞতাও কিন্তু তাদের কম হয় না। তাই মফস্বল থেকে পত্রিকা অফিসে যারা কাজ করতে যান তারা পরবর্তীতে বেশ ভালো করে থাকেন এর ঢের নজির রয়েছে জাতীয় পত্রিকাগুলোতে।এর আগে রাজধানী ঢাকার ঘেরে আটকে ছিল মুল সাংবাদিকতা। পত্রিকার প্রথম পাতায় তারাই কেবল স্থান পেতেন। পত্রিকা গুলোর ধরন পাল্টেছে। ৮৫ ভা মানুষের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন সেই জেলা, উপজেলা প্রতিনিধিদের খবর এখন প্রথম পাতায় গুরুত্বের সাথে স্থান পাচ্ছে।
এখন সংবাদ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে গোটা দেশের। তাই মফস্বল সাংবাদিক বলে নাক সিটকানো সাংবাদিকদেরও এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন। তাই মফস্বলেও এখন স্টাফ রিপোর্টার করা হচ্ছে।এতে একজন মফস্বল সাংবাদিক সাংবাদিকতার কেন্দ্র-প্রান্ত সম্পর্কের মাঝখানে সেতু হয়ে উঠতে পারেন। গ্রামীণ মানুষের শোক, সুখ আর দু:খ গাঁথা তার কলমের শক্ত গাঁথুনিতে জায়গা করে নিতে পারে পত্রিকার প্রধানতম জায়গা। টেলিভিশনের গুরুত্বপূর্ণ টাইম স্পেস। আর এ রকম প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এগুতে পারলে দেশের সামগ্রিক সাংবাদিকতায় দেখা যাবে বিপুল বৈচিত্রময়তা। তাতে কেবল ছোট শহর কেন্দ্রিক নয় সংবাদপত্র হবে গোটা দেশের। মফস্বলে থেকে যারা পত্রিকায় কাজ করেন তাঁদের মাদক চোরাচালন বা ডাকাতির ঘটনাটি যেমন তাকে লিখতে হয়, তেমনি এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘুষ বা দুর্নীতির ঘটনাটিও তাকেই কভার করতে হয়। আর সেকারণে মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকরা অধিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন।মফস্বলের ক্ষমতা কাঠামোর সাথে লড়াই করে টিকে থাকার সামর্থ্যটুকু অনেকক্ষেত্রেই সাংবাদিকের থাকে না। সেক্ষেত্রে সংবাদ প্রতিষ্ঠানকেই সাংবাদিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়া উচিৎ। কিন্তু তা হয় না খুব একটা। আমাদের সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ, সরকার এবং প্রশাসনকে এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
আসলে সাংবাদিকদেরও শিখার আছে অনেক। সাংবাদিকতারা যত শিখবে, দেশকে তারা তত মেধা বিলিয়ে দিতে পারবে। সমাজের অসঙ্গতি দূর করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র এবং সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য।
সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। এই দর্পণ তৈরি করেন সাংবাদিকরা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সরকার এবং সকল দলের পথ নির্দেশনা তৈরি করে দেয় সংবাদপত্র। এর কারিগর হলো সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক সমাজ আজ দ্বিধা বিভক্ত। অপসাংবাদিকদের ভিড়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদার আজ ধুলায় ভুলন্ঠিত। কেন এমন হচ্ছে?
একজন সাংবাদিক দেশে ও সমাজের কল্যাণে নিবেদিত হবেন; সাংবাদিকতায় এটি স্বতঃসিদ্ধ । কিন্তু কী হচ্ছে দেশে? মহান পেশার আদর্শ উদ্দেশ্য উল্টে ফেলা হচ্ছে ; সৎ সাংবাদিকদের বিতর্কিত করা হচ্ছে; নানা স্বার্থে সংবাদপত্রকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। কারা করছে এসব? আজ কেন সাংবাদিকতা বাণিজ্যের ভিড়ে সংবাদপত্র এবং প্রকৃত সাংবাদিকরা অপসৃয়মাণ? কেন মর্যাদাসম্পন্ন পেশা, মর্যাদা হারাচ্ছে।
কেন শুদ্ধতার মাঝে ঢুকে পরেছে নাম সর্বস্ব অপসাংবাদিকতা। দুর্নীতি ঢুকে গেছে এ পেশায়। পেশা নয় অসুস্থ ব্যবসা। অশিক্ষিত, কুশিক্ষিতরা অর্থের বিনিময়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে মানুষকে ভয়ভীতি; আর সরলতার সুযোগ নিয়ে হরদম প্রতারণা করছে। যা সাংবাদিকতা আর সংবাদপত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ।
যারা হলুদ সাংবাদিকতা করেন কিংবা ৫শ’ টাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ড এনে দাপট দেখান তারা আমার এ লেখার কোথাও কোথাও বেশ মজা পেয়েছে তাই না? এ বিষয় গুলো আপনাদের জন্য নয়। ভুয়া আর হলুদ সাংবাদিকে ভরে গেছে দেশ। এরা সাংবাদিক নয়, সমাজের কীট। এরা মানুষকে ব্লাকমেইলিং করে টুপাইস কামাচ্ছেন বেশ।
এদের কাছ থেকে সবাইকে সাবধান হতে হবে। এতের কারণে, সংবাদপত্র, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা বিষয়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। সাংবাদিক মানেই ধান্ধাবাজ, প্রতারক, ব্লাকমেইলার ও ভীতিকর ব্যক্তি এমন ধারণাই পোষণ করে দেশের গরিষ্ঠ মানুষ।
প্রকৃত সাংবাদিকেরা এর কোনটাই নন। সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা। এটা কেবল পেশা নয়, একজন সাংবাদিক এ সেবায় থেকে মানুষকে সেবা দিতে পারেন। দেশের কিছু অসৎ সম্পাদক, সাংবাদিক অর্থের বিনিময়ে সারা দেশে নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দিয়ে এ পেশার সম্মানহানি করছে। এরা সাংবাদিক নন। সাংবাদিক নামধারী।সমস্যাটা এখানেই। দেশে হরেদরে সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহারের সুযোগ আছে। এই সুযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ আরোপে প্রকৃত সাংবাদিকদের সাহসী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে সাংবাদিক হতে কোনো সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না।
হুট করেই সাংবাদিক হয়ে যেতে পারে যে কেউ। না, এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাও কোনো বিষয় নয় ! সুশিক্ষিত ও মানসম্পন্ন সাংবাদিক ও কলামিস্ট এদেশে অনেকেই আছেন, যারা তাদের ক্ষুরধার ও বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী দ্বারা সমাজের অনেক অসঙ্গতি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলে আমাদের সমাজ সচেতন করে তোলেন প্রায়ই।
সেই গুটিকয়েক নমস্য সাংবাদিকের সাথে মিশে গেছে সাংবাদিক নামধারী (লেবাসধারী) কিছু নর্দমার কীট; আসলে এরাই বর্তমানে সংখ্যায় বেশি। এসব অপসাংবাদিকতা ইদানীং সাংঘাতিক রকম বেড়ে গেছে। অপ-সাংবাদিক সৃষ্টি এক ধরনের সাংবাদিকতা নির্যাতন। আমরা চাই, সাংবাদিকতা পেশা যেন আগের সৎ ও নির্ভীক চেহারায় ফিরে আসে।এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে যারা এসব অপসাংবাদিক তৈরি করছে তারা সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই তা করছে। এটা কোনো সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রও হতে পারে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। নইলে বড্ড বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে এ মহান পেশায়।
সাংবাদিক নামধারী অপসাংবাদিকদের বিষয়ে কিছু না বলে পারছি না। সাংবাদিকতা একটি স্পর্শকাতর পেশা। যে কারো হাতে যেভাবে ছুরি কাঁচি তুলে দিয়ে অপারেশনের সার্জন বানিয়ে দেয়া গ্রহণযোগ্য হয় না, একইভাবে যে কারো হাতে পরিচয়পত্র, কলম-ক্যামেরা-বুম তুলে দিয়ে তাকে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের দায়িত্ব দেয়াটাও গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।
আজকাল মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এ পেশা সম্পর্কে নানা নেতিবাচক মন্তব্য অনেকের কাছে শুনতে হয়। আজকের এ নিবন্ধ ধাঁন্দাবাজ, হলুদ সাংবাদিক এবং অপসাংবাদিককে ঘিরে, যারা সাম্প্রতিক কালে এ মহান পেশাকে কলুষিত করে রেখেছেন, অপেশাদার মনোভাব তৈরি করে সাংবাদিকতা-বাণিজ্য চালু করেছেন। এদের রাহুগ্রাস থেকে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসতে হবে। এমনিতেই নিরাপত্তার অভাবে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে মুক্ত সাংবাদিকতার দ্বার। এভাবে চলতে পাওে না। চলতে দেয়া যায় না।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, সাংবাদিকতা এর সঙ্গে সারা দেশের হাজার হাজার সাংবাদিকের ঘাম-শ্রম ও জীবন ঝুঁকি জড়িত। এ নিয়ে রাষ্ট্র ভাবছে কম! গভীর রাত পর্যন্ত ঘুমহীন কাজ করতে হয় অনেক সংবাদকর্মীর। অনেকটা নিশাচরের ভূমিকা তাদের। সাংবাদিকদের পারিবারিক জীবন বলতে কিছু নেই। কিন্তু সাংবাদিকদের মূল্যায়ন সমাজে নেই বললেই চলে।পাশাপাশি নিরাপত্তা-ঝুঁকি তো রয়েছেই। সমাজের অনেক সাংবাদিক ত্যাগী, নির্লোভী ও সৎ। তারা মানবকল্যাণে, সমাজকল্যাণে নিয়োজিত রয়েছেন। এই দিকটিও সরকারকে আমলে নিতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যা বন্ধ করা না গেলে সৎ, মেধাবী, যোগ্য, তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এখন যে সংবাদপত্রে ঢুকছেন, তারা নিরুৎসাহিত হবেন।
এমনিতেই সাংবাদিকদের পেশাগত নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা নেই, তার ওপর যদি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তাদের জীবনঝুঁকি বেড়ে যায় কিংবা তারা হামলা-হত্যার শিকার হন তাহলে কিভাবে সাংবাদিকতা পেশা বিকশিত ও প্রতিষ্ঠিত হবে?

লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, গবেষক

খোলা চিঠি বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব.  

নিউজ শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *